সোমবার মার্কিন ঘাঁটিতে তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনায় কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির কাছে "দুঃখ" প্রকাশ করেছেন ইরানের রাষ্ট্রপতি মাসুদ পেজেশকিয়ান।
মঙ্গলবার আমিরের সাথে এক ফোনালাপে, পেজেশকিয়ান উল্লেখ করেছেন যে কাতারে অবস্থিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটি আল উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে হামলার লক্ষ্যবস্তু কাতার বা তার জনগণ কেউই নয় এবং এটি উপসাগরীয় দেশটির জন্য "কোনও হুমকির প্রতিনিধিত্ব করে না", দিওয়ান (আমিরের কার্যালয়) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
ছবি: কাতার ও ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "[পেজেশকিয়ান] জোর দিয়ে বলেছেন যে কাতার রাষ্ট্র একটি প্রতিবেশী, মুসলিম এবং ভ্রাতৃপ্রেমী রাষ্ট্র হিসেবে থাকবে এবং আশা প্রকাশ করেছেন যে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক সর্বদা রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা এবং সুপ্রতিবেশীসুলভ আচরণের নীতির উপর ভিত্তি করে থাকবে।"
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মতে, ইরান মধ্যপ্রাচ্যের বৃহত্তম মার্কিন ঘাঁটিতে ১৯টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যার মধ্যে ১৮টি কাতারের প্রতিরক্ষা বাহিনী প্রতিহত করেছে। ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) জানিয়েছে যে রবিবার ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের "প্রকাশ্য সামরিক আগ্রাসনের" প্রতিশোধ হিসেবে তারা এই "শক্তিশালী এবং বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র হামলা" চালিয়েছে।
ইরান ও কাতার দীর্ঘদিন ধরে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক উপভোগ করছে এবং কাতার সরকার ইরানের উপর ইসরায়েলি ও মার্কিন হামলার নিন্দা জানিয়েছে। কিন্তু কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান বিন জসিম আল থানি মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে দোহা ও তেহরানের সম্পর্কের উপর "ক্ষত" বলে মন্তব্য করেছেন, যা সারতে সময়ের প্রয়োজন।
১৩ জুন ইরানের অভ্যন্তরে একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েল সেনাবাহিনীর হামলার পর থেকে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে শুরু হওয়া সংঘাতের মধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে পাল্টাপাল্টি আক্রমণ শুরু হয়েছে।